২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত: হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

দূষণে আমরা আতঙ্কিত: হাইকোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের ফাইল ছবি

হাইকোর্টের অভিমত, বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত, যেন একটি যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ তদন্ত সংস্থা নতুন করে ওই ঘটনার তদন্ত করতে পারে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ের পূর্নাঙ্গ পাঠে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত ১ ডিসেম্বর দেওয়া ওই রায়ের পূর্নাঙ্গ পাঠ আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়, 'ওই ঘটনা দেশের ইতিহাসের একটি জঘন্যতম মর্মান্তিক ঘটনা, যেখানে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ অনেকে নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য স্বাধীন ও সঠিক তদন্ত করা প্রয়োজন, যা আজ পর্যন্ত এই মামলায় অনুপস্থিত।'

হাইকোর্ট বলছে, 'আমরা মনে করি যে মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিৎ, যেন মামলার যথাযথ বিচারের জন্য একটি উপযুক্ত ও বিশেষজ্ঞ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়।'

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

গত ১ আগস্ট বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং অপর সাজাপ্রাপ্তদের খালাসের আদেশ দেন।

হাইকোর্ট জানান, মামলাগুলোর বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ, কারণ তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে।

আজ প্রকাশিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠে হাইকোর্ট বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলেন, 'মামলার বাস্তবতা বিবেচনা করে এটি সহজেই বলা যেতে পারে যে, কোনো আইনি বা সমর্থনযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই মূলত অনুমানের ওপর ভিত্তি করে মামলার রায় কার্যকর করা হয়েছিল।'

এতে আরও বলা হয়, 'সুপ্রিম কোর্টের অনেক সিদ্ধান্ত আছে যে চার্জশিট গ্রহণের পর মামলা পুনরায় চালু করা যাবে না বা অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো যাবে না। তবে যদি তথ্যদাতা বা তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার ওপর নতুন কিছু খুঁজে পান, তাহলে তিনি মামলার আবার তদন্ত শুরু করতে পারেন এবং সম্পূরক চার্জশিট জমা দিতে পারেন।'

'এই মামলার আইনি ও বাস্তব দিকটি বিবেচনা করে আমরা দেখেছি যে, প্রকৃতপক্ষে প্রসিকিউশন মামলায় অভিযুক্তদের অংশগ্রহণের বা কোনো অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ দেখাতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে,' যোগ করা হয় এতে।

হাইকোর্ট আরও বলেন, 'তাছাড়া, আইনগতভাবে আমরা দেখেছি যে বিচারটি বেআইনিভাবে সম্পন্ন হয়েছিল, দ্বিতীয়বার তদন্ত যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়নি, পরে মামলা সম্পর্কে যথাযথ ধারণা না নিয়ে বিচারকার্য হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

24m ago