হাইকোর্টের সেই ৩ বিচারপতির পদত্যাগ

ইসকন নিয়ে হাইকোর্টের রায়
সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ফটো

হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। পাঁচ বছর ধরে তাদের বিচারিক দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।

তারা হলেন—বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ২৯ জুলাই বিচারপতি সালমা মাসুদকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল বিচারপতি কাজী রেজা-উল ও বিচারপতি জহিরুল হোসেন নিয়োগ পান।

আইন সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে তারা পদত্যাগ করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

তবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বা সরকার কেউই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, কারা তদন্ত করছে, কবে শেষ হবে তা প্রকাশ করেনি।

যোগাযোগ করা হলে শেখ আবু তাহের তিন বিচারপতির পদত্যাগপত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়াকে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি বিভাগের একজন কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাতের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল চলতি মাসের শুরুতে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে তারা পদত্যাগ করেছেন।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের সাবেক তিন বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

২০১৯ সালের ২২ আগস্ট বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে বিচারিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Remittance-rich Sylhet ranks poorest in new index

Long seen as the “London of Bangladesh” for its foreign earnings and opulent villas, Sylhet has been dealt a sobering blow. The country’s first Multidimensional Poverty Index (MPI) has revealed that the division is, in fact, the poorest in Bangladesh when measured by access to education, healthc

5h ago