চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসে এসে যুবককে গুলি করে হত্যা

dead body
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ের শমশের পাড়া এলাকায় মাইক্রোবাসে করে এসে এক যুবককে রাস্তার উপর প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

সোমবার বিকাল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এর পরপরই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকেও সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

নিহত যুবকের নাম আফতাব উদ্দিন তাহসিন (২৮)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত তাহসিন বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার শিবির ক্যাডার সরওয়ার গ্রুপের সদস্য ছিলেন। পুলিশের ধারণা, তাকে ওই এলাকার 'ছোট সাজ্জাদ' নামে পরিচিত সাজ্জাদ হোসেনের দলের সদস্যরা গুলি করে হত্যা করেছে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে শমশের পাড়া এলাকায় চায়ের দোকানে বসা অবস্থায় তাহসিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

চান্দগাঁও থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তাহসিন বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার শিবির ক্যাডার সরওয়ার গ্রুপের সদস্য ছিলেন। বিকেলে তিনি শমশের পাড়া এলাকার একটি চায়ের দোকানে যান। কয়েক মিনিট পরেই একটি কালো মাইক্রোবাসে করে আসা দুর্বত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে, এতে তিনি মারাত্মক আহত হন।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, আহত অবস্থায় তাহসিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে।

স্থানীয়রা বলছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তার, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি এবং অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিতে সাজ্জাদ ও সরওয়ার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও হাটহাজারী এলাকার প্রায় তিন লাখ বাসিন্দা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার কুয়াইশে অনন্যা আবাসিক এলাকায় দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের ধারণা, সাজ্জাদ ও তার দলের লোকজনই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ জানায়, সাজ্জাদ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ হোসেনের সহযোগী হিসেবে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে, শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ বর্তমানে বিদেশে পলাতক আছে। 

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago