ঢাবিতে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা: প্রভোস্ট ও ১৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

তোফাজ্জল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মো. মাসুম ও ১৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আজ বুধবার তোফাজ্জলের চাচাতো বোন আসমা আক্তার (৩০) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে এ মামলা করেন।

বাদীর আইনজীবী ওবায়দুল মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপর আসামিরা হলেন—পদার্থবিদ্যা বিভাগের মুহাম্মদ জালাল মিয়া, আবদুস সামাদ, শাহরিয়ার কবির শোভন ও মেহেদী হাসান ইমরান; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশের সুমন মিয়া; উদ্ভিদবিদ্যার ফিরোজ কবির; পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন শাহ ও রাশেদ কামাল অনিক; গণিতের ফজলে রাব্বি ও আহসানউল্লাহ; ভূগোল ও পরিবেশের আল হুসাইন সাজ্জাদ; সমুদ্রবিদ্যার ওয়াজিবুল আলম; ফার্মেসির ইয়ামুস জামান এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মোহাম্মদ সুলতান।

আদালতে কর্মরত একজন ডেইলি স্টারকে জানান, ম্যাজিস্ট্রেট বাদীর বক্তব্য রেকর্ড করেছেন এবং এ ঘটনায় আরেকটি হত্যা মামলা হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী নতুন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।

আদেশে বলা হয়, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় ১৯ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৫ ডি ধারা অনুযায়ী নতুন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আগের মামলার তদন্তের অগ্রগতি এবং প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ২৫ নভেম্বর নির্ধারণ করা হলো।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ফজলুল হক মুসলিম হলে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করার পর ২০ সেপ্টেম্বর হলের ছয় আবাসিক শিক্ষার্থী জালাল, সুমন, মোত্তাকিন, আহসানউল্লাহ, সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়ে এবং তারা পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে কয়েকদফা পেটায়, এক ভবন থেকে আরেক ভবনে নিয়ে যায়, খাবার খাওয়ায় এবং তারপর আবার পেটায়। 

এর মধ্যে হল কর্তৃপক্ষ ও প্রক্টর অফিসকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর মুমূর্ষু তোফাজ্জলকে হাসপাতালের পরিবর্তে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ১১টার দিকে দুই শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে প্রক্টর অফিসের গাড়িতে উঠিয়ে দিচ্ছে। গাড়িটি সরাসরি শাহবাগ থানায় চলে যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, তোফাজ্জলকে সেখানে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান।

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus opens second round of talks to strengthen national unity

'Beautiful July Charter' would be unveiled following discussions, he says

11m ago