জোরে গান বাজিয়ে যাচ্ছিলেন প্রতিবন্ধী নারী, হাতুড়িপেটায় হত্যা
সাতক্ষীরায় বাড়ির সামনে দিয়ে জোরে গান বাজিয়ে যাওয়ার কারণে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে হাতুড়িপেটা করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা মোড় এলাকায় সংঘটিত এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইলিয়াস হোসেন (২৭) ও তারা বাবা-মাসহ পাঁচজনকে আটক করে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী।
আটক ইলিয়াস একই এলাকার একরামুল হোসেনের ছেলে।
নিহত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীর নাম রোজিনা সুলতানা চুমকি (২০)। তিনি সাতক্ষীরা শহরের সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শ্রেণির ছাত্রী ও থানাঘাটা গ্রামের রেজাউল করিম মেয়ে ।
থানাঘাটার বাসিন্দা সখিনা খাতুন জানান, চুমকি আজ সকাল ১০টার দিকে রাস্তা দিয়ে স্পিকারে জোরে গান বাজাতে বাজাতে যাচ্ছিলেন। এ সময় একই এলাকার ইলিয়াস হোসেন জোরে গান বাজানোর কারণে চুমকির মাথায় হাতুড়ি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই চুমকির মৃত্যু হয়। ইলিয়াস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পিটুনি দিয়ে র্যাবকে খবর দেয়। পরে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ইলিয়াস ও তার বাবা-মাসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইলিয়াসের ভাষ্য, চুমকি প্রায়ই তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে গান বাজাতে বাজাতে যেতেন। নিষেধ করলে উল্টাপাল্টা কথা বলতেন। আজও নিষেধ না শুনে তিনি ইলিয়াসকে গালিগালাজ করেন। এতে রেগে গিয়ে তিনি হাতুড়ি দিয়ে চুমকির মাথায় আঘাত করেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মমতাজ মুজিদ জানান, নিহত চুমকিকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন আছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা র্যাব-৬ এর কমান্ডার মো. ফয়সাল তানভীর জানান, আটককৃতদের মধ্যে ইলিয়াসকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, 'ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।'
Comments