সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান গ্রেপ্তার

সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান গ্রেপ্তার
শাজাহান খান | ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাহজাহান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজধানীর জিগাতলায় আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে রাজধানীর জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ৬টার দিকে গলায় ও বুকে গুলি লেগে নিহত হন আব্দুল মোতালেব (১৪)।

ওই ঘটনায় ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ৩২৩, ৩০৭, ৩০২, ১১৪ ও ৩৪ ধারায় এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের তিন, চার ও ছয় ধারায় ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর সাত।

এজাহারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১৭৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

এই মামলার ২৩ নম্বর আসামি শাজাহান খান।

মতিনের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বড় নেয়াজপুর গ্রামের মীরের পাড়ায়। ঢাকায় তিনি ৬৩/এ হাজারীবাগ এলাকায় বসবাস করেন।

শাজাহান খান মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি।

১৯৬৬ সালে শাজাহান খান ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে মাদারীপুর আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক হন। ওই বছরই তিনি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কমিটির সদস্য ও মাদারীপুর জেলা জাসদের যুগ্ম আহ্বয়ক হন। ১৯৮৬ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৯১ সালে জাসদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

শাজাহান খান ১৯৭২ সালে মাদারীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮০ সালে যুগ্ম সম্পাদক এবং ১৯৯৪ সালে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন।

Comments

The Daily Star  | English

Beyond development paradox & unnayan without democracy

As Bangladesh seeks to recalibrate its path in the aftermath of recent upheavals, the time is ripe to revisit an oft-invoked but under-examined agenda: institutional reform. Institutions are crucial to understand, as they are foundational for governance, transformation, and economic development.

16h ago