বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও তার ভাই ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
দিনাজপুরে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য এম ইকবালুর রহিম ও তার ভাই সাবেক বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে স্থানীয় বিএনপি নেতা রুহান হোসেন দিনাজপুর সদর থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় আরও ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা প্রায় ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দিনাজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রাহুল ইসলাম (১৮) দিনাজপুর সদর উপজেলার বিদরমসাই গ্রামের বাসিন্দা এবং রানীগঞ্জ এহিয়া হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামলার বিবরণী অনুযায়ী, কলেজশিক্ষার্থী রাহুল গত ৪ আগস্ট দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে শুরু হয়ে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও তার ভাই তৎকালীন সংসদ সদস্য এম ইকবালুর রহিমের বাড়ির সামনে পৌঁছালে মিছিল থেকে ওই বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ করে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় রাহুল আহত হয়। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং ১১ আগস্ট বিকেলে তিনি মারা যান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন (আ.লীগ নেতা), শাহ আলম ( আওয়ামী লীগ ঠিকাদার), মো. রমজান (আওয়ামী লীগ নেতা ও ইটের খোয়া ব্যবসায়ী), সালেকিন রানা (যুবলীগ), আবু ইকবন। রজব স(সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা), মোঃ মিঠুন (যুবলীগ), মোঃ সুইট (ওয়ার্ড যুবলীগ), ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, জন রায় (যুব লীগ), মোঃ হারুন উর রশিদ রায়হান (যুবলীগ), স্বপন (যুবলীগ), মোঃ মমিনুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান, শেখপুরা ইউনিয়ন, ইমদাদ সরকার দিনাজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, মোঃ রানা (শসরা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা), ফরিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক দিনাজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মিঠুন (ছাত্রলীগ নেতা)।
Comments