আবারও ফাইয়াজের জামিন আবেদন নাকচ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জামিন আবেদন আজ আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ফাইয়াজের আইনজীবী ঘটনার সঙ্গে ফাইয়াজ জড়িত নন বলে জামিন চেয়ে আবেদন করলে ঢাকার শিশু আদালত-৩ এর বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপি এ আদেশ দেন।
ফাইয়াজ নাবালগ এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ এফআরআইয়ে তার নামে মামলার কথা জানিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা তার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে দাবি করে তার জামিন বাতিলের আবেদন করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জর করে দেন।
২৮ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার ফাইয়াজকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যদিও ফাইয়াজের বয়স সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোরাদুল ইসলাম ফইয়াজকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা তার বয়স ১৮ লিখে দেন, যার ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট ফাইয়াজকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করে রিমান্ডে দেন।
নিম্ন আদালতের ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী কিশোর আদালতে আবেদন করেন। এরপর কিশোর আদালত ফাইয়াজকে নথিসহ আদালতে হাজির করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়।
সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ফাইয়াজের বয়স ১৭ বছর।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া রিমান্ড আদেশ বাতিল করে তাকে গাজীপুরের টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, ১৭ বছরের হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৯ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার হাইকোর্টকে জানায়, ফাইয়াজকে রিমান্ডে নিয়ে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা ভুল ছিল এবং এ ধরনের ভুল যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments