চট্টগ্রামে থানা হাজতে আসামির ঝুলন্ত মরদেহ
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার হাজতখানায় এক আসামির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে হাজতে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায় জুয়েলের (২২) বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতির চেষ্টা এবং ছিনতাইয়ের অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি প্রস্তুতির এক মামলার আদালত থেকে পরোয়ানা থাকায় তাকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাজতের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চান্দগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সে তার গায়ের শার্ট দিয়ে লকআপের টয়লেটের ভেন্টিলেটরে ঝুলে আত্মহত্যা করে। চান্দগাঁওয়ের খেজুরতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।'
'আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেছি যে সে আত্মহত্যা করেছে,' বলেন তিনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, 'ঘটনার সময় পুলিশ লকআপের বাইরে পাহারায় ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে আত্মহত্যা করতে দেখেছি। কিন্তু তার আত্মহত্যার কারণ এখানো জানা যায়নি।'
আসামির পরিবারের সদস্যরা জানান, পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে জুয়েলের সখ্যতা ছিল। চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা ছিল। কিছু দিন আগে তিনি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালাতে শুরু করেন।
জুয়েলের বোন সালমা বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি সত্য যে আমার ভাই ছিনতাই এবং চুরির ঘটনায় জড়িত ছিল। সে আগেও হাজতে গিয়েছিল। সে অটোরিকশা চালিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'কিছুদিন আগে কোতোয়ালী এলাকা থেকে তার রিকশা চুরি হয়ে যায়। এর পর থেকে রিকশার মালিক তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে চাপ দিচ্ছিল। কিছুদিন আগে সে বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।'
সালমার স্বামী মো. সাগর থানায় সাংবাদিকদের বলেন, 'কিছুদিন আগে গ্যারেজ মালিক তার কাছে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মারধর করে। আমরা জানি না সে কেন আত্মহত্যা করল। এখন তার ছোট শিশুটির দেখাশোনা করবে কে?'
Comments