ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

পিস্তল হাতে ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়া হোস্টেল মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের আনন্দমিছিলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবি জয়। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আয়েশ রহমান ইজাজের (২২) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জানান, আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয়ের খবরে শুরু হওয়া আনন্দমিছিলে এই গুলির ভিডিও ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত ওসি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জানান, সন্ধ্যায় শহরের খ্রিস্টান মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের জয়ী হওয়ার খবরে তার সমর্থকরা আনন্দমিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজপাড়া হোস্টেলের মোড় অতিক্রমের সময় শাহাদাত হোসেন শোভনের অনুসারী ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবি জয় তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ইজাজের মাথায় গুলি করেন এবং পালিয়ে যান।

ইজাজকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার সময় পথে তিনি মারা যান।

এরই মধ্যে এ ঘটনার খবর পেয়ে ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জেলা হাসপাতাল এলাকায় জমায়েত হন। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের দিকে যায়।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

5h ago