ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সূর্যসেন হলে ৪ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। প্রতীকী ছবি: স্টার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। প্রতীকী ছবি: স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ৪ শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে।

নির্যাতনের ঘটনায় হল প্রভোস্টের কাছে আজ বুধবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ৪ শিক্ষার্থী। তারা হলেন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আলম বাদশা, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের লুতফুর রহমান, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুর রহমান ও একই শিক্ষাবর্ষের আল-আমিন।

অভিযুক্তরা হলেন-সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদ জামান অভি ও আবদুল আহাদ, সহ-সভাপতি হামিদ, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ তালহা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম নিরব।

অভিযোগে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ৪ শিক্ষার্থীর রুমমেট ছিলেন ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী সুমন আহমেদ। সুমন তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন।

তবে সুমনের দাবি, তিনি যেন রুম ছেড়ে চলে যান এজন্য রুমমেটরা তার সঙ্গে বিরক্তিকর আচরণ করতেন। গত সোমবার ৪ রুমমেট তাকে ডেকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং সুমনের জামাকাপড় ও বই বাইরে ফেলে দেন।

পরে সুমন বিষয়টি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানকে জানান।

ওই ৪ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সিয়াম তাদের নিজ কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে সিয়ামের অনুসারীরা তাদের মারধর ও মানসিক নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে সিয়াম রহমান ওই ৪ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।

সিয়াম রহমান অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'তারা রুম থেকে আরেক রুমমেটের জামাকাপড় বাইরে ফেলে দিলে আমি দুজনকে শুধু জিজ্ঞাসা করেছি যে তারা কেন করেছে। পরে তারা তাদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চায়।'

জানতে চাইলে মাস্টারদা সূর্যসেন সেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, '৪ শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।'

এ ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অভিযুক্ত তৌহিদ জামান অভি ও বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
What is Indian media’s gain in branding us as a Hindu-hating country?

What is Indian media’s gain in branding us as a Hindu-hating country?

What has shocked me is their refusal to fact-check what they are writing, broadcasting or televising—a basic duty of any journalist.

7h ago