ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে ইউপি সদস্যকে মারধর করল সন্ত্রাসীরা

ইউপি ভবনে সচিবের কক্ষে ইউপি সদস্য রাজ্জাককে (গোলাপি জামা) মারধর করে আল মামুন। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ঢুকে এক ওয়ার্ড সদস্যকে মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা।

আহত দোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল হককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সচিবের কক্ষে তাকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে। তবে মারধরের কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একই ইউনিয়নের চাপরকোনা গ্রামের আল মামুনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে রেজাউল হককে মারধর শুরু করে।

চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আল মামুন সরিষাবাড়ি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের অনুসারী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

আহত ইউপি সদস্য রেজাউল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি সচিবের কক্ষে বসে দাপ্তরিক কাজ করছিলাম। হঠাৎ আল মামুন কয়েকজনসহ এসে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে লাঠিসোঁটা দিয়ে আমাকে মারধর শুরু করে।'

জানতে চাইলে ডোয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আল মামুন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এর আগে তারা আমার বাড়িতেও হামলা করেছিল। তবে ইউপি সদস্য রেজাউলকে কেন মারধর করেছে, তা এখনো জানতে পারিনি।'

মারধরে অভিযুক্ত আল মামুনের বক্তব্যের জন্য তাকে ফোন করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

যোগাযোগ করা হলে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইউপি সদস্য রেজাউল হককে মারধরের ঘটনায় তিনি আল মামুনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago