স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় 'পারিবারিক কলহ'র জেরে স্ত্রী ও মেয়েকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা ও ছেলেকে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
নৃশংস এই ঘটনার পর শহিদুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন—দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নেয়াতপুর চিনিরচাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগম (৩৪) ও তার মেয়ে আফরিন (৭)।
এ ছাড়া, গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আল আমিন (১৪)।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম বলেন, 'এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। শহিদুল প্রথমে হত্যার কথা স্বীকার না করলেও পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে নেয়।'
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাঁশ দিয়ে স্ত্রী মর্জিনাকে মারতে শুরু করেন শহিদুল। আফরিন এবং আল আমিন তাদের মাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করেন শহিদুল।
তারা জানান, শহিদুলের বাবা সোহরাব হোসেন ছুটে গিয়ে মর্জিনা, আল আমিন ও আফরিনকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার ওই চিকিৎসক মর্জিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে আহত দুই শিশুকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে আফরিনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত মর্জিনার মা গোলাপী বেগম বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
Comments