নাটোর

প্রার্থীকে অপহরণ-মারধর: চিঠি দিয়েও পুলিশি নিরাপত্তা পায়নি জেলা নির্বাচন অফিস

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে সোমবার দুপুরে একটি কালো মাইক্রবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও নাটোর জেলা নির্বাচন অফিস থেকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনার পরও টনক নড়েনি নাটোর জেলা পুলিশের। 

গত সোমবার অপহরণের ঘটনার সময় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে কোনো পুলিশ মোতায়েন ছিল না। 

এমনকি এ ঘটনার পরও ওই কার্যালয়ে কোনো পুলিশি নিরাপত্তা না দেওয়ায় পুলিশ সুপারের দায়িত্বে অবহেলার প্রশ্ন উঠেছে জেলার সচেতন নাগরিকদের মধ্যে।

কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন না করায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।

সোমবার দুপুরে ওই কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। 

আজ মঙ্গলবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বারবার চিঠি দিয়েও পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। আশা করি দ্রুতই রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।'

পুলিশকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশ মোতায়েন চেয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। সোমবারও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি।

নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলামের সঙ্গে আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে কথা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচন অফিস থেকে পুলিশ চেয়েছে মঙ্গলবার। এরপর সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'

এরপর সরেজমিনে ওই কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সেখানে কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। 

নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা কর্মী এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, সেখানে আজ কোনো পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়নি।

রিটার্নিং অফিসারের সামনে থেকে প্রার্থী অপহরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নাটোর জেলা কমিটির সভাপতি খগেন্দ্রনাথ রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রিটার্নিং অফিসারের অফিস থেকে যদি প্রার্থী অপহরণের ঘটনা ঘটে, তাহলে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। সেখানে নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন থাকার কথা। অথচ, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পুলিশ নাই। এটা চরম অবহেলা বলেই মনে করি।'

Comments

The Daily Star  | English

Drone crash triggers commotion on Ijtema ground, 40 injured

It was not immediately known how the drone fell or who it belonged to

52m ago