আগাম জামিন অনির্দিষ্টকালের জন্য দেওয়া যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট

স্টার ফাইল ফটো

কোনো মামলার আসামিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিন দেওয়া যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্টের এক পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চের একটি আদেশের পূর্ণাঙ্গ পাঠে এ কথা বলা হয়েছে।

বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী।

পর্যবেক্ষণে বলা হয়, '...সব ক্ষেত্রে যে নীতিটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো কোনো ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয়।'

'এরকম পুলিশ প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত বিবাদীদের আগাম জামিনের সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নীতিটি বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে হাইকোর্ট। কখনো কখনো তদন্ত সংস্থা সঠিক তদন্তের জন্য প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সময় চায়। এ পরিস্থিতিতে, পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আসামি আগাম জামিনের সুবিধা পেতে পারেন না,' রায়ে বলা হয়।

গত ৬ মার্চ হাইকোর্টের এক আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। 

তাদের আইনজীবী মো. হোসেন লিওন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তারা জামিনে থাকবেন বলে ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন।

আজ আদেশের পূর্ণ পাঠে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের আগাম জামিনের আদেশে পরিবর্তন করে বলেন, দুই অভিযুক্ত আট সপ্তাহের জন্য আগাম জামিনে থাকবেন।

পূর্নাঙ্গ পাঠে বিচারপতিরা বলেন, 'আমরা গত বছরের ৮ নভেম্বরের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশটি সংশোধন করতে চাই। বিবাদীরা (জয়নুল ও খোকন) ওই তারিখ থেকে আট সপ্তাহের জন্য জামিনে থাকবেন এবং তারপর তারা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালত যদি তাদের জামিন আবেদন বিবেচনা করে, তাহলে তারা জামিনের সুযোগের অপব্যবহার করেননি।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

4h ago