দুদকের মামলায় স্বাস্থ্যের আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ঢাকার এক আদালত।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেনের আজ বুধবার মামলার নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আফজালের জামিন আবেদনও নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া, তার স্ত্রী রুবিনা বিদেশে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন আদালত।
মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট আফজালকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৫ মার্চ আবজাল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম দুটি মামলায় পৃথকভাবে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ দম্পতি ৮৯ কোটি ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়া, দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৩ হিসাবে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি এক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিরা মালয়েশিয়ার ৫টি ব্যাংক হিসাবে ২২ লাখ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ার ২২টি ব্যাংক ও ৩ প্রতিষ্ঠানে এক কোটি ১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডায় ২ ব্যাংকে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেছেন। পাশাপাশি কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮ লাখ ৪৪ হাজার ডলার পাচার করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আবজাল মালয়েশিয়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৭০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৭ অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং কানাডায় ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৫ কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন। তার স্ত্রী রুবিনা মালয়েশিয়ায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫২০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং কানাডায় ৪ লাখ ৬১ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন।
এ ছাড়া, দেশে আবজালের ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। ব্যাংকে তার অবৈধ লেনদেন ১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। রুবিনার দেশে ১০৬ কোটি টাকার সম্পদ এবং ব্যাংকে ৩০৭ কোটির অবৈধ লেনদেন পাওয়া গেছে।
২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ দম্পতির লেনদেন তদন্ত করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুটি মামলা করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।
Comments