ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি মুলতবি

গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আদেশ দেন আদালত। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিন শীর্ষ কর্মকর্তার সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি ১৪ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরুর জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন।

কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগের (ডিআইএফই) করা একটি ফৌজদারি রিভিশন পিটিশনের পরে হাইকোর্ট ৫ ফেব্রুয়ারি দেওয়া শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ কেন বাতিল করা হবে না এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ব্যাখ্যা দিতে রুল জারি করেন।

হাইকোর্ট জানিয়েছেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহান—চার অভিযুক্ত জামিনে থাকায় তাদের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাজা স্থগিত থাকবে।

গতকাল ড. ইউনূস ও অন্য তিনজনের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ-আল-মামুন হাইকোর্টকে বলেন, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৩ মার্চ শেষ হওয়ায় এই আদালতের জারি করা রুল অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

ডিআইএফইর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান হাইকোর্টকে বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) বিধান অনুযায়ী বিচারিক আদালতের দ্বারা অভিযুক্ত কারো সাজা আপিল আদালত স্থগিত করতে পারে না।

আপিল আদালত শুধুমাত্র জরিমানার আদেশ স্থগিত করতে পারেন বলে যুক্ত দেন তিনি।

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং শীর্ষ কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানের নামে এই মামলা করা হয়।

পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারা জামিন পাওয়ার পর শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলে ৩ মার্চ রোববার পর্যন্ত সাজা স্থগিতের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

৩ মার্চ ড. ইউনূস ও বাকি তিনজনের জামিনের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১৬ এপ্রিল নির্ধারণ করেন ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago