শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি

গত রোববার ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আদেশ দেন আদালত। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিন শীর্ষ কর্মকর্তার সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদতের বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

আদালত অবশ্য আজকের শুনানি মুলতবি করে ১০ মার্চ পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের ৩ শীর্ষ কর্মকর্তাকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং শীর্ষ কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানের নামে এই মামলা করা হয়।

পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারা জামিন পাওয়ার পর শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলে, ৩ মার্চ রোববার পর্যন্ত সাজা স্থগিতের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১৬ এপ্রিল নির্ধারণ করেন ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। 

কিন্তু, ট্রাইব্যুনালের সাজা স্থগিতের আদেশের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রিভিশন পিটিশন দাখিলের অনুমতি দেন হাইকোর্ট।

রিভিশন পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ড. ইউনূস এবং অপর ৩ জনকে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নেওয়ার আদেশ দেন।

এছাড়া ট্রাইব্যুনালের সাজা স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেন।

আজ শুনানিতে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টকে বলেন, প্রাসঙ্গিক আইনে নিম্ন আদালতে অভিযুক্তের সাজা আপিল আদালত স্থগিত করতে পারে না।

আপিল আদালত শুধু জরিমানার আদেশ স্থগিত করতে পারে উল্লেখ করে যুক্তি দেন তিনি।

শুনানির সময় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর ৩ জনের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তারা আগামী ১০ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

Now