পরশুরামে শিশু হত্যা, কারাগারে মা

ফেনীর পরশুরামে ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে শিশু হত্যার ঘটনায় ওই শিশুর মা আয়েশা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ফেনীর পরশুরামে ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে শিশু হত্যার ঘটনায় ওই শিশুর মা আয়েশা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর পরশুরাম পৌরসভার বাঁশপদুয়া গ্রামের নুরুন নবীর ভাড়া বাসায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

মঙ্গলবার নুরুন নবী তার দুই মেয়ে ফাতেমা আক্তার ওরফে নিহা ও উম্মে সালমা ওরফে লামিয়াকে ঘরে রেখে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানা আক্তারকে নিয়ে ফেনীতে যান। দুপুরে হেলমেট পরা দুই যুবক তাদের ঘরে ঢুকে ছোট মেয়ে উম্মে সালমা ওরফে লামিয়া আক্তারকে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ সময় বড় বোন ফাতেমা আক্তার কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এই ঘটনায় নুরুন নবী বাদী হয়ে পরশুরাম মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পুলিশ তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানা আক্তারকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসা করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে আদালতের মাধ্যমে আজ কারাগারে পাঠানো হয়।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান জানান, নুরুন নবীর প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।

তিনি জানান, নরুন নবীর বড় মেয়ের ভাষ্য অনুযায়ী হেলমেট পরা দুই যুবককে সে আগেও তার মায়ের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলতে দেখেছে। তারা হেলমেট পরে ঘরে ঢোকার পরে হেলমেট খুলে ফেলায় সে তাদেরকে চিনতে পেরেছে।

Comments