সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি

সগিরা মোর্শেদ। ছবি: সংগৃহীত

১৯৮৯ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় সগিরা মোর্শেদ হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার চার আসামি হলেন- সগিরার ভাশুর চিকিৎসক হাসান আলী চৌধুরী (৭০), তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহিন (৬৪), সায়েদাতুলের ভাই আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান (৫৯) এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা (৫৯)।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ মামলার রায়ের প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় নতুন তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে ২৫ জানুয়ারি প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

আদালত এই মামলার বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মেয়ে সাহারতকে নিতে রিকশায় করে রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুলে যাচ্ছিলেন সগিরা (৩৪)।

এসময় স্কুলের সামনে ছিনতাইকারীরা সগিরাকে গুলি করে।

ওই দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন রিকশাচালক দুজন খুনিকে শনাক্ত করলেও পুলিশ মন্টু নামে একজনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগপত্র দাখিল করে।

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আবু বকর সিদ্দিক ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং সাত জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

তবে শুনানির সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদুল হাসানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মারুফ রেজার নাম তদন্তে উঠে আসে এবং তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১৯৯১ সালের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। কিন্তু মারুফ রেজা রিট আবেদন করায় হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম ২৮ বছর স্থগিত করে জারি করা রুল খারিজ করে দেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে আদেশ দেন।

পরে পিবিআই চার জনকে গ্রেপ্তার করে, যারা ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Arrest warrant for Shakib Al Hasan in cheque dishonour case

Additional Chief Metropolitan Md Ziaudur passed the order after Shakib and three others failed to appear before the court today

9m ago