শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. ইউনূসের জামিন

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়ার পর জামিন দিয়েছেন আদালত।
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়ার পর জামিন দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় দেন।

আজ দুপুর সোয়া ২টার দিকে এই রায় পড়া শুরু হয়।

রায় ঘোষণার আগে আজ দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে পৌঁছান ড. ইউনূস।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং শীর্ষ কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানের নামে এই মামলা করা হয়।

গত ১৬ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে।

এর আগে, গত ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান।

মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান।

সেই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।

এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Ex-president Badruddoza Chowdhury passes away

He breathed his last at 3:15am today while undergoing treatment at the Uttara Women’s Medical College

1h ago