পুলিশের ওপর হামলা মামলায় বিএনপির ৬২ নেতাকর্মীর ৪২ মাস কারাদণ্ড

যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর বংশালে পুলিশের ওপর হামলা ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৬২ নেতা-কর্মীকে ৪২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আখতার হামিদ খান পবনও এই মামলার আসামি।

দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী।

ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী আসামিদের অনুপস্থিতিতে আজ সোমবার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার আগে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন বাতিল করেন এবং আসামিরা অনুপস্থিত থাকায় তাদের 'পলাতক' ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন আদালত।

পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাদের শাস্তি কার্যকর হবে বলে ম্যাজিস্ট্রেট তার রায়ে উল্লেখ করেন।

রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে এক আসামির আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার মক্কেল আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাননি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র পাঁচ জন আদালতে অভিযোগকারী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ জবানবন্দি দিলেও তারা ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ দিতে ব্যর্থ হন। তাই আসামিরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

আইনজীবী আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা আলামাত প্রদর্শন করতে প্রসিকিউশন ব্যর্থ হয়েছে।

মেজবাহ বলেন, আমরা এই রায় উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করব যেখানে আমাদের মক্কেলরা ন্যায়বিচার পেতে পারে।

গোলাম আক্তার ইকবালের আইনজীবী কাজল রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার মক্কেলের বয়স এখন ৭২ বছর এবং তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।

তাছাড়া তিনি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এবং এখন তিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন না। তাই তার মক্কেল ন্যায়বিচার পাননি উল্লেখ করে কাজল বলেন, যে পাঁচ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা তার মক্কেলের নাম উল্লেখ করেননি।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় এবং আদালত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পাঁচ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বংশালের নবাব কাটরায় হোটেল সুফিয়া (প্রাইভেট) লিমিটেডের সামনে বিএনপির একদল নেতা-কর্মী জড়ো হন। এক পর্যায়ে তারা দোকানপাট ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বংশাল থানায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৮০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে।

তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই ৬২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে এবং ২০২২ সালের ১৪ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

Comments

The Daily Star  | English
BNP demands disclosure of power sector contracts

Disclose AL govt’s power, energy deals

The BNP yesterday demanded public disclosure of all the power and energy sector agreements made by the ousted Awami League government.

5h ago