১৫ বছরে বিচারাধীন মামলার জট বেড়ে দ্বিগুণ
দেশের উচ্চ ও নিম্ন আদালতে ১৫ বছরের ব্যবধানে বিচারাধীন মামলার জট দ্বিগুণ হয়েছে।
মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আইন কমিশনের প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের আদালতগুলোতে ৪০ লাখের বেশি মামলা ঝুলছে। এর প্রধান কারণ বিচারকের স্বল্পতা। দেশে ৯৪ হাজার ৪৪৪ জনের বিপরীতে বিচারকের সংখ্যা ১ জন।
আইন কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের সংবিধানে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক থাকবে বলা হলেও কার্যক্ষেত্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সোনার হরিণ হয়েই থাকে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বিভাগ কোনো সময়ই সরকারের কাছ থেকে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি।
এই অস্বাভাবিক মামলার জট নিরসনের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বিচার ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের শুধু আস্থাই হারিয়ে যাবে না; বিচার ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বর্তমানে বিচারপতি আছেন ৮ জন এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৯০ জন। এই তথ্য অনুসারে, আপিল বিভাগে বিচারের জন্য বিচারক প্রতি মামলা রয়েছে ২ হাজার ৪৯১টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৫ হাজার ৭৪১টি।
অন্যদিকে, জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে বর্তমানে বিচারকের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। এর মধ্যে ডেপুটেশনে আছেন আনুমানিক ২০০ জন বিচারক। সে হিসাবে জেলা বিচার বিভাগে বিচারক প্রতি মামলা আছে ২ হাজার ৩৩টি।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। এই সংখ্যাকে বর্তমানে বাংলাদেশের জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে বিদ্যমান বিচারকের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে ৯৪ হাজার ৪৪৪ জনের বিপরীতে বিচারকের সংখ্যা মাত্র ১ জন।
Comments