সাঈদীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট: পাবনায় ছাত্রলীগের আরও ১৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার
দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট ও মন্তব্য করায় পাবনায় ছাত্রলীগের আরও ১৭ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ নিয়ে পাবনার ২৮ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
আজ রোববার পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সংগঠনিক সম্পাদক নাজিবুল ইসলাম নিয়ন, চাটমোহরের পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক লিটন খান, উপক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক রুবেল হোসেন, ভাঙ্গুরা উপজেলার খান মরিচ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী রাকিবুল ইসলাম, ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জয় মালিথা, চাটমোহর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী প্রান্ত হোসেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী মাহমুদুল হাসান শোয়েব, ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ রহমান হাসিবুল, ফরিদপুর উপজেলার বিএল বাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী তরিকুল ইসলাম জীবন, বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী হৃদয় রানা ও সবুজ সরদার, বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী সুরুজ সরদার ও নাজমুল ইসলাম, সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসাইন আকাশ ও সাঁথিয়া উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হিমেল বিশ্বাস কাজল।
এ প্রসঙ্গে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ সাংবাদিকদের বলেন, 'দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ছিলেন। তার মৃত্যুতে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী শোক জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে। যেটা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।'
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পরামর্শে আগে ১১ জন এবং আজ ১৭ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comments