অনলাইন জুয়ায় কোটি টাকা পাচার, বেটউইনারের ৪ এজেন্ট গ্রেপ্তার

arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বেটউইনারের ৪ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ।

সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার গত সোমবার রাজধানীর তেজঁগাও, বংশাল, লালবাগ ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মো. আরিফুল ইসলাম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৩২) মো. হারুন অর রশিদ (৩৭) ও ইমরান হোসাইন (২৯)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন, ১৮টি সিম, এজেন্ট সিমে থাকা মোট ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭৬ টাকার ব্যালেন্স ও নগদ ১ লাখ ৪২ হাজার ৮৯০ টাকা জব্দ করা হয়।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, অনলাইন জুয়ার সাইট 'বেটউইনারের' এজেন্টরা টাকা লেনদেনের জন্য সরাসরি নিজেরা এজেন্ট সিম ব্যবহার না করে কিছু অসাধু এমএফএস এজেন্ট দোকানদারদের টাকা লেনদেনের দায়িত্ব দেয়। 

সিআইডি আরও জানায়, বাংলাদেশে বেটউইনারের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে সম্রাট ও মো. শাহীন নামের দুজন ওয়েবসাইটটি নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের মাধ্যমে জুয়ার এজেন্টরা এমএফএস (এজেন্ট সিম) ব্যবহার করে জুয়াড়িদের টাকা সংগ্রহ করে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কনভার্ট করে বিদেশে পাচার করে। 

বেটউইনার ছাড়াও তারা 'বেটভিসা' সাইট ব্যবহার করে লেনদেন করে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর সিআইডি জানায়, সুপার অ্যাডমিন কিংবা মাস্টার এডমিন নামে রাশিয়া থেকে বেটউইনারের ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন দেশে ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজাররা জুয়ার এজেন্ট হিসেবে বিশ্বস্তদের নিয়োগ দেয়।

প্রতিমাসে প্রত্যেক জুয়ার এজেন্ট বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন করে এবং এর কমিশন বাবদ টাকার একটা অংশ তারা পায় বলে সিআইডি জানিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Remittances grow 3% in January

Migrants sent home $2.18 billion in the first month of 2025

3h ago