শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা: হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

শ্রম আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজের হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দায়ের করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে করা একটি আবেদন গত ৮ আগস্ট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে  পিটিশন দাখিল করেন ড. ইউনূস।

তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক আজ বিকেলে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি করতে পারেন।

গত ৬ জুন প্রফেসর ইউনূসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

মামলার অপর বিবাদীরা হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান এবং পরিচালক নূর জাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান।

শ্রম আদালতের আদেশ স্থগিত চেয়ে ড. ইউনূস পিটিশন দায়ের করলে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৩ জুলাই শ্রম আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

কিন্তু, পরে ৮ আগস্ট বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে দেন। 

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের কার্যালয় পরিদর্শন করে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান।

একই বছরের ১৯ আগস্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ টেলিকমকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ৬৭ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার কথা থাকলেও গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ তা করেনি।

এছাড়া, কর্মচারী অংশীদারিত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়নি।

পরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন।

Comments

The Daily Star  | English

BNP's name being misused for personal gains: Rizvi

He urges party men to remain vigilant against committing misdeeds

1h ago