রুমা থেকে বেকারি ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ কেএনএফের বিরুদ্ধে
বান্দরবানের রুমা-থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণার ২ দিনের মাথায় রুমায় এক বেকারি ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রুমা উপজেলা থেকে সুজন চৌধুরী (৪৫) নামে ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে ওই ব্যবসায়ীর পরিবার।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ সুজন চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে রুমার স্থানীয় 'অরণ্য' বেকারি থেকে পণ্য কিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের দোকান ও পর্যটন স্পটগুলোতে বিক্রি করতেন।
সুজন চৌধুরীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো আজও পণ্য কিনে মুনলাই পাড়া হয়ে বগালেকের দোকানগুলোতে বিক্রির জন্য যাচ্ছিলেন। আরথা পাড়ায় পৌঁছালে কুকি-চিন ন্যাশলাল ফ্রন্টের সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা তাকে অপহরণ করে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সুজন চৌধুরীর (৪৫) প্রতিবেশীর মোবাইল ফোনে এএনএফের পক্ষ থেকে সুজনকে অপহরণের কথা স্বীকার করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয়।
সুজন চৌধুরী বান্দরবানে ক্যচিং ঘাটা এলাকার বাসিন্দা। ব্যবসা সূত্রে রুমা হিন্দু মন্দির এলাকায় থাকতেন।
সুজনের শ্যালক সুবাস দাশ ও সুজনের বিস্কুট বহনকারী গাড়ির ড্রাইভার বিকাশ কর্মকার অপহরণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রুমা মুননুয়াম পাড়া রাস্তায় আরথা পাড়ার দোকান থেকে সুজনকে কুকি-চিন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা প্রথমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। পরে ১ লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছে।
অরণ্য বেকারী মালিক ক্যম্যুই অং মারমা সুজন চৌধুরী অপহরণের বিষয়ে নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সুজন চৌধুরীকে আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে সুজন আমার বেকারির কর্মচারী নয়। সে আমার বেকারি থেকে বিস্কুট কিনে উপজেলার বিভিন্ন এলকায় বিক্রি করতেন।'
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার কাছে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অপহরণ হয়েছে কি না বলতে পারব না।'
Comments