নাটোর

উপজেলা পরিষদে ইউএনওর গাড়িচালককে রামদা-চাইনিজ কুড়াল নিয়ে ধাওয়া

নলডাঙ্গা
চাইনিজ কুড়াল হাতে উপজেলা পরিষদ ভবনে একজন দৌড়ে প্রবেশ করছেন এবং তিনি ও রামদা হাতে আরেকজন ভবন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। ছবি: নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

নাটোরের নলডাঙ্গায় চাইনিজ কুড়াল ও রামদা নিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের ভেতরে ঢুকে ইউএনওর গাড়িচালককে ধাওয়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে।

পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে এ ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। 

এ ঘটনার একটি ভিডিও দ্য ডেইলি স্টারের কাছে এসেছে। এতে দেখা যায়, একজন দৌড়ে উপজেলা পরিষদ ভবনে প্রবেশ করার পর তার পেছনে একজন চাইনিজ কুড়াল হাতে ও পরে আরেকজন রামদা হাতে তার পেছনে ধাওয়া করছে।

ভুক্তভোগী চালক রুবেল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি উপজেলা পরিষদের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় কয়েকজন অপরিচিত লোক এসে আমাকে তাদের মোটরসাইকেলে উঠতে বলে। তারা আমাকে টানাহেঁচড়া করে। পরে আমি দৌড়ে ইউএনও স্যারের রুমে আশ্রয় নিই। পেছন পেছন তারা রামদা ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে আমাকে ধাওয়া দিতে দিতে উপজেলা পরিষদ ভবনে ঢুকে পড়ে।'

তিনি জানান, পাওনা টাকা নিয়ে তার বড়ভাই মাইক্রোবাস চালক খোকনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবের। 

হাবিব এর আগে খোকনের গাড়ি ভাড়া নিলেও টাকা পরিশোধ করেনি। ওই টাকা চাওয়ার জেরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। 

এর জেরে আজ হাবিব তার এক সহযোগীসহ এ হামলার চেষ্টা করে বলে দাবি রুবেলের।

অভিযুক্ত হাবিব নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মুকু দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন। হাবিব তার সহযোগী আলীমসহ রুবেলকে ধাওয়া দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে হাবিব বা আলীম কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।   

জানতে চাইলে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা উপজেলা পরিষদের সামনে এসে রুবেলকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রুবেল প্রাণভয়ে উপজেলা পরিষদের ভেতরে দৌড়ে আসে।'

'পরে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে রুবেলকে ধাওয়া দিতে দিতে উপজেলা পরিষদ ভবনে ঢুকে পড়ে। রুবেল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রুমে আশ্রয় নিলে তারা পালিয়ে যায়,' বলেন তিনি।

রোজিনা আক্তার আরও বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সিনিয়র অফিসারদের জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে নাটোরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে ইউএনওর ড্রাইভারকে ধাওয়া করেছে বলে শুনেছি। তবে কী নিয়ে ধাওয়া করেছে তা জানি না। কেউ বলছে হাতুড়ি কেউ বলছে হাসুয়া।'

পুলিশ মামলা নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

7h ago