নোয়াখালীতে গুলিবিদ্ধ আ.লীগ নেতার মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মো. দুলাল। ছবি: সংগৃহীত

শালিস বৈঠক থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য হাজী মো. দুলাল মেম্বার (৪৭) মারা গেছেন।  

সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান রাত ১টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 
 
নিহত দুলাল আন্ডারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য। তিনি আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ছিলেন। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজারের পূর্ব পাশ থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়াম্যান জসিম উদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশ করতে যান দুলাল মেম্বার। সালিশ  শেষে তিনি হাসান ও শহীদ মাঝির সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে মোটরসাইকেলটি জসিম চেয়ারম্যানের বাড়ি কাছে বাংলাবাজারের পূর্ব পাশে জাকিরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। 

এতে ২ রাউন্ড গুলি দুলালের পিঠের বাম পাশে এবং ডান হাতে বিদ্ধ হয়। তবে মোটরসাইকেলে থাকা দুলালে সহযোগী মোটরসাইকেল চালক হাসান ও শহীদ মাঝি অক্ষত ছিলেন। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এসে দুলালকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুলাল মেম্বার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে সোমবার সকালে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ঘটনার দিন একজনকে এবং সোমবার আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।    

 

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago