ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইলে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে কিশোরীর মামলা
ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এই মামলা হয়।
মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে। এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, মামলার বাদী ১৭ বছরের এক কিশোরী। দুই বছর আগে মা এবং আট মাস আগে তার বাবা মারা যান। মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, ধর্ষণের কারণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এর পরই গর্ভপাতের জন্য গোলাম কিবরিয়া ও তার স্ত্রী নিগার আফতাব তাকে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. ছালাম মিয়া বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
গোলাম কিবরিয়ার টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব। তার ছোট ভাই তানভীর হাসান টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর, ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মামলায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাদেকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়ার কনসালটেন্ট লুৎফুন্নাহারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড ওই তরুণীকে পরীক্ষা করেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর অহম্মেদ জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেস্কে জান্নাত রিপার আদালতে ওই তরুণীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমি এবং আমার ভাই ২০১৪ সালে দেশে ফিরে টাঙ্গাইলকে সন্ত্রাসমুক্ত করেছি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়েছে।
Comments