পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন: সাবেক ওসি ও এসআই কারাগারে

নারায়ণগঞ্জ

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে হওয়া মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ও উপপরিদর্শক (এসআই) সাধন বসাকের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস-শামস্ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, '২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা একটি মামলার তদন্ত শেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এই দুই আসামি হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। আজ তারা জজ কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।'

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সোনারগাঁওয়ের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান আলমগীর, স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন ও বাবুল নামে ৩ জনকে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মধ্যরাতে থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। ওই সময় সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন মোরশেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপপরিদর্শক সাধন বসাক। ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান আলমগীর ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে 'নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে' মামলা করেন। ওই মামলায় তদন্ত শেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত ওসি মোরশেদ ও এসআই সাধনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

মামলার বাদী আনিসুর রহমান আলমগীর বলেন, 'আমাদের তিন জনকে ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে হাত, পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন করেন। এ সময় আমি অচেতন হয়ে পড়লে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন। সাবেক ওসি ও এসআই জাহিদুল ইসলাম স্বপনের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যারও হুমকি দেন তারা। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম স্বপন আদালতে এ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। আসামিরা আমাকে সাক্ষী না দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। পরে আমি নিজে বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করি।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago