ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বৈবাহিক অবস্থা প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না: হাইকোর্ট

‘হাইকোর্টের এই রায়ের পরে কোনো শিক্ষার্থীকে সারাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য তার বৈবাহিক অবস্থা প্রকাশ করতে বাধ্য করা যাবে না।’
দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন
স্টার ফাইল ফটো

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থীকে তার বৈবাহিক অবস্থা প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। শিক্ষার্থীদের বৈবাহিক অবস্থার তথ্যের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে একটি রুলের শুনানি শেষে এই রায় দেওয়া হয়।

মামলার শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'হাইকোর্টের এই রায়ের পরে কোনো শিক্ষার্থীকে সারাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য তার বৈবাহিক অবস্থা প্রকাশ করতে বাধ্য করা যাবে না।'

'ধর্ষণের পর এক নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে সন্তান জন্ম দেন। রাজশাহী সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির সময় ফরমে তাকে "স্বামী পরিত্যক্তা" লিখতে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেটাকেও অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট', বলেন তিনি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, 'তথ্য-প্রমাণ ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে হাইকোর্টের দেওয়া এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ করা হলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।'

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর ভর্তিপ্রার্থীদের বৈবাহিক অবস্থার তথ্যের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেন।

ভর্তিচ্ছুদের বৈবাহিক অবস্থা জানতে খোঁজখবর নেওয়ার এ ধরনের উদ্যোগকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

রাজশাহী সরকারি নার্সিং কলেজে ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করতেও কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রুলের ওপর শুনানিকালে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক।

Comments