সড়ক অবরোধের ঘটনায় অধ্যক্ষসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাজীপুরের সালনা এলাকায় নাসিরুদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় মামলাটি করেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল কুমার। মামলায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ইন্দনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিনকে জামিনে মুক্তি ও অন্যান্যদের জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন।
তারা হলেন, সাবেক কাউলতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মতিউর রহমান, তার সহযোগী মাকসুদুর রহমান, মোবারক হোসেন ও তামিম হোসেন তন্ময়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গতকাল সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত কলেজের পাশে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের ২টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, পুলিশের ২টি গাড়ি কলেজ ক্যাম্পাসে রেখে তারা সেখানে ও আশপাশে অবস্থান করে। কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী পুলিশের গাড়িতে উঠে। এক পর্যায়ে পুলিশের ওই গাড়ি চালক কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। অন্য শিক্ষার্থীরা তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে বললে চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে চলে যেতে থাকেন। এসময় গাড়ির ধাক্কায় একজন নারী শিক্ষার্থী আহত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থীর অন্য সহপাঠীরা ওই গাড়িসহ পুলিশের আরেকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
গাজীপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবি রীনা পারভীন জানান, গাজীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম বুধবার বিকেল ৪টায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে।
গাজীপুর মহানগরীর সালনা নাসিরুদ্দিন মেমোরিয়াল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অন্যায় আচরণসহ নানা অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার কলেজ ক্যাম্পাসে ও পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ করে।
Comments