কাপ্তাইয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু ‘গ্রেনেড’ বিস্ফোরণে: পুলিশ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণে বাবা ও ছেলে নিহত হয়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত গ্রেনেড বিস্ফোরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মীর মুদ্দাসের হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

 আজ সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল কাপ্তাই হ্রদের কাছে বাদশা মাঝির টিলায় বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কাপ্তাই ইউনিয়নের নতুন বাজার সংলগ্ন বাদশা মাঝি টিলা এলাকায় নিজ বাড়িতে বিস্ফোরণে ইসমাইল মিয়া (৪৫) ও তার ছেলে মো. রিফাত (৭) নিহত হন।

বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ইসমাইলের স্ত্রী সখিনা বেগম (৩৫)। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এসপি মীর মুদ্দাসের হোসেন বলেন, 'আমাদের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দলও বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছে এবং কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে।'

'প্রাথমিকভাবে আমরা সন্দেহ করছি ওই বাড়ির ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটে,' যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমরা জেনেছি নিহত ইসমাইল সেনাবাহিনীর ফায়ারিং অনুশীলন এলাকা থেকে লোহা ও ধাতব জিনিসপত্র সংগ্রহ করতেন এবং ভাঙারির দোকানে বিক্রি করতেন। বিস্ফোরণের আগেও তিনি বিক্রির জন্য কিছু জিনিসপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।'

এসপি আরও বলেন, 'আমরা আদালতের মাধ্যমে প্রমাণ বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠাব এবং এ বিষয়ে মামলা করব।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেড লিভার বা পিন খুঁজে পেয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের মরদেহে স্প্লিন্টার বিঁধে ছিল, যা দেখে বোঝা গেছে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছিল ওই বাড়িতে। কীভাবে সেখানে তাজা গ্রেনেড গেল তা তদন্ত করে দেখছি আমরা।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago