কেরানীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, আহত ২

প্রতীকী ছবি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার জনসহ মোট ছয় জন দগ্ধ ও আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে চার জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও দুই জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল ঋষিপাড়া এলাকার একটি চার তলা বাড়ির নিচ তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন উমা রানী (৬০), তার মেয়ে বিনা চক্রবর্তী (৪০), ছেলে দেবা চক্রবর্তী (২৮) ও নাতি পিনাক চক্রবর্তী (১৫)।

আর আহত দুজন হলেন, প্রতিবেশী লিপি চক্রবর্তী (৩০) ও পথচারী স্বপন রাজবংশী (৫৫)।

উমা রানীর নাতনি জ্যোতি দাস জানান, চার তলা বাড়িটি তাদের নিজেদের। নিচের তলায় থাকেন উমা রানী এবং তার ছেলে ও মেয়ের পরিবার। সকালে উমা রানি রান্না করার জন্য রান্নাঘরে যান। সেখানে গিয়ে দেয়াশলাই জ্বালাতে বিকট বিস্ফোরণ হয়।

এতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আর বাসার দেয়াল কিছু অংশ ভেঙে পড়ে যায়। পরে তারা দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

আহত লিপি চক্রবর্তীর ছোট ভাই সৌরভ আচার্য জানান, লিপির বাসা ওই বাড়ির পাশেই। সকালে যখন বাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয় তখন সেখান থেকে দেয়ালের ইট এসে লিপির মাথায় লাগে।

আহত স্বপনের শ্যালক তপন রাজবংশী জানান, স্বপন রাজবংশী পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। থাকেন ওই এলাকাতেই। সকালে ওই বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। তখন বিস্ফোরণে ইট এবং সাটার ভেঙে এসে তার মাথায় পড়ে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে চার জন দগ্ধ ইনস্টিটিউটে এসেছে। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী। এদের মধ্যে উমা রানীর শরীরের ৯৫ শতাংশ, বিনা চক্রবর্তীর ৮৫, দেবা চক্রবর্তীর ১৬ ও পিনাক চক্রবর্তীর ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ৪ জনেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের সবার অবস্থায়ই আশঙ্কাজনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মিয়া জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুজন ঢাকা মেডিকেলে এসেছে। দুজনেরই মাথায় আঘাত আছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

10h ago