টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে আজও বিস্ফোরণের শব্দ

নাফ নদী। ছবি: সংগৃহীত

রাতভর শান্ত থাকার পর টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আজ সোমবার সকালে বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, বিস্ফোরণের শব্দ তাদের কাছে ভূমিকম্পের মতো মনে হয়েছে।

তারা বলছেন, মিয়ানমারের এপারে বাংলাদেশের কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ ও এর আশেপাশের এলাকায় এই আওয়াজ শোনা গেছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সকাল আটটা থেকে ১০টা পর্যন্ত তারা তিনবার বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়েছেন।

'বিস্ফোরণের শব্দের সময় ভূমিকম্পের মতো মনে হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলেও সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে', বলেন তিনি।

আব্দুস সালাম আরও জানান, এখনো রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ওপারে সংঘর্ষের মাত্রা বাড়লে আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এই সংঘর্ষের মধ্যে গত শনিবার বিকেলে একজন গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচজন রোহিঙ্গা একটি ছোট নৌকা নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে আসেন।

তবে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই নারীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শনিবার তিনজন রোহিঙ্গাকে শাহপরীর দ্বীপ থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ওই রোহিঙ্গাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ নারীর স্বামীও ছিলেন।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ও কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তারা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। কোনোভাবেই মিয়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

চলতি মাসের শুরুর দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি সেনা ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে চলে আসেন। এই সদস্যদের মধ্যে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের সংখ্যা ছিল বেশি। এ ছাড়া সে দেশের সেনাবাহিনী, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন তাদের মধ্যে।

এই ৩৩০ জনকে গত ফেব্রুয়ারি ১৫ মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি বিপরীতে মিয়ানমার অংশের আরাকান আর্মি তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে।

বর্তমানে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বিপরীতে পাশে মিয়ানমারের সরকারি সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে।

সেই সংঘর্ষে জের ধরে বর্তমানে টেকনাফ শহর ,শাহপরীর দ্বীপসহ আশেপাশের এলাকায় সেখান থেকে আসা বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

ACC to investigate irregularities in 11th National Election

A five-member team has been formed to investigate these allegations

22m ago