জামাতুল আনসারের ৩ জঙ্গি গ্রেপ্তার: পুলিশ

জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া
জামাতুল আনসার সদস্যদের তথ্যের ভিত্তিতে তিনটি দেশীয় পিস্তল, ছয়টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি, ১৪০ রাউন্ড সিসার তৈরি গুলি, দুই লিটার এসিড, গান পাউডার, তিন লিটার অকটেন, দুই বোতল দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ, ট্রেনিংয়ের পোশাকসহ বিভিন্ন কিছু জব্দ করা হয়। ছবি সৌজন্য: ডিএমপি

নতুন জঙ্গি সংগঠন 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ও রাজধানীর কদমতলী এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. কবীর আহাম্মদ (৫০), মো, ইয়াসিন (৪০) ও আব্দুর রহমান ইমরান (২৬)। আজ তাদের নিয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের (সিটিটিসি) বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তিনটি দেশীয় পিস্তল, ছয়টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি, ১৪০ রাউন্ড সিসার তৈরি গুলি, দুই লিটার এসিড, গান পাউডার, তিন লিটার অকটেন, দুই বোতল দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ, ট্রেনিংয়ের পোশাকসহ বিভিন্ন কিছু জব্দ করা হয়েছে।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া বিরুদ্ধে সিটিটিসির অভিযানে গত ২১ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হতে মো. সাইফুল ইসলাম তুহিন ও মো. নাঈম হোসেন গ্রেপ্তার হন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনের অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কবির আহাম্মদকে শনাক্ত করা হয়।

পরে কবির আহাম্মদ বান্দরবান হতে গ্রেপ্তার হন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা দুইটি প্লাস্টিকের ড্রামে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা আছে।

পুলিশ আরও জানায়, কবির আহাম্মদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কদমতলী এলাকা হতে জঙ্গি সংগঠনটির দুই সদস্য মো. ইয়াসিন ও আব্দুর রহমান ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

4h ago