চতুর্থবারের মতো মির্জা ফখরুল-মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন চতুর্থবারের মতো নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এই আদেশ দেন।

আজকের শুনানির সময় ফখরুল ও আব্বাসের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, মামলার এফআইআরে তাদের মক্কেলদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে।

তবে একই মামলার এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও বিএনপির অপর ২ নেতা- আমানুল্লাহ আমান ও আবদুল কাদের ভূঁইয়াকে ঢাকার অপর এক আদালতে হাজির করার পর জামিন মঞ্জুর হয়। তাই তাদের সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা উচিত বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

প্রসিকিউশন অবশ্য জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছে, তাদের নির্দেশে নেতাকর্মীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করা উচিত।

উভয়পক্ষের শুনানির পর বিচারক আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং জানুয়ারিতে জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

নয়াপল্টনে দলটির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের একদিন পর ৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।

এই সংঘর্ষে ১ জন নিহত এবং আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন।

মামলায় গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের মোট ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পরদিন ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।

৯ ডিসেম্বর ভোররাত ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম ফখরুল ও আব্বাসকে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।

নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালাতে দলের সদস্যদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago