অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ধামরাইয়ে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ঢাকার ধামরাইয়ের যাদবপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান মল্লিক দ্য ডেইলি স্টারকে এ নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বাদি হয়ে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ও তার সহযোগী লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এলাকায় বিভিন্ন জনকে চাকরি ও ক্যান্টিন ভাড়া দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তার নামে কোর্টেও মামলা চলমান রয়েছে জানিয়ে মফিজুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে আলী হায়দারকে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করা হয়। তারপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় পাওনাদাররা তাকে স্কুল এলাকায় পেয়ে মারধর করেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আজ তাকে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় লিটন মিয়ার সহায়তায় প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২০২২ সালের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা ফি বাবদ ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬০ টাকা আদায় করেন। আলী হায়দার ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার রশিদ দেখান। কিন্তু বিবাদী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার কেন্দ্র সচিব ও অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২ লাখ টাকা জমা করেছেন। বাকি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। বাকি টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বললে তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এছাড়া এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ও নানাভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান বলেও উল্লেখ করা হয় মামলায়।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আলী হায়দার অনেক অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের একটি ঘটনা আমরা পয়েছি। আরও তদন্ত করছি। এছাড়া তিনি পিয়ন নিয়োগের কথা বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে।

Comments

The Daily Star  | English
Gunfight

Local BNP leader shot dead in Dhaka’s Badda

When Kamrul was sitting on a chair on the roadside and talking with 2-3 people, two assailants on foot came from behind and shot him before fleeing the scene

12m ago