রেড অ্যালার্ট জারি করেছি, শিগগির তাদের ধরতে পারবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া ২ জঙ্গি সদস্যদের শিগগির গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোর্টে কয়েকজন জঙ্গি যাদের আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম, আমি যতটুকু জানি আদালত তাদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুজন ছিল; একজন আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব, অন্যজন মাইনুল হাসান শামীম, দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদের নিয়ে এসে কোর্ট হাজতে রাখা হয়। বিচারকের সামনে হাজিরা শেষে আবার যখন তাদের নির্দিষ্ট রুমে নিয়ে যাচ্ছিল তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের কেমিক্যাল ছুড়ে অজ্ঞান করে কয়েকজন সমর্থক তাদের নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করেছি। আমাদের পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে তাদের। শিগগির তাদের ধরতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমরা বর্ডার এলাকাগুলোতেও বলে দিয়েছি। তারা যেন আমাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে। এই ঘটনাটি দুঃখজনক। যদি কারো অবহেলা থাকে, গাফিলতি থাকে, যদি কেউ ইচ্ছা করে এই কাজটি করে থাকেন তার উপযুক্ত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো। নিশ্চয়ই আমরা তদন্ত কমিটি করবো, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

কী স্প্রে দিয়েছে, কারা দিয়েছে সবগুলো বিষয় বলতে আমাদের আরেকটু সময় লাগবে। তদন্ত করে আমরা বলবো, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এই ঘটনা আশঙ্কাজনক মনে করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব জিনিস গুরুত্ব দিয়ে দেখি। জঙ্গি উত্থান হয়েছিল, আমরা সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আদালতে নেওয়ার সময় ডান্ডা-বেড়ি, এমনকি হাতকড়াও খুলে দিতে হবে। সেই অনুযায়ী তারা সেখানে গিয়েছিল। কোন ফাঁক-ফোকরে এ ঘটনা ঘটেছে তদন্তের আগে আমরা বলতে পারবো না। আমরা সব বিষয় তদন্ত করবো। কাউকে ছাড় দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। এই ঘটনায় কেউ যদি জড়িত থাকে তার উপযুক্ত ব্যবস্থা আমরা নেব।

আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে আগে কখনো কথা ওঠেনি। সব সময় এভাবেই চলে আসছে। এখন আমরা তদন্ত করে দেখবো, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

50m ago