অপহরণ-হত্যা ষড়যন্ত্র মামলায় জবানবন্দি দিচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৪ আসামি কীভাবে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল সেই বর্ণনা দিতে ঢাকার একটি আদালতে হাজির হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

মামলার অপর ৪ আসামি হচ্ছেন, বাংলা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন ও তার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

মামলার অভিযুক্ত ৫ জনই বর্তমানে পলাতক।

নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবুসহ মাত্র ৪ জন আইনজীবীকে মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের আদালত কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়নি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়ের জবানবন্দি শুনবেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর।

এর আগে একই আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ৯ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়কে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ২০১৫ সালের আগস্টে পল্টন থানায় মামলাটি করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি।

চার্জশিটে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানকে 'প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে'র মূল হোতা এবং মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনকে তাদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিজভী আহমেদ সিজার এফবিআই থেকে জয়ের তথ্য সংগ্রহ করে অন্য অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছেন বলেও চার্জশিটে বলা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের আগে মামুনসহ বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

২০১৫ সালের মার্চে একটি মার্কিন আদালত সিজারকে একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তথ্য সংগ্রহের জন্য এফবিআইয়ের এক বিশেষ এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেন।

মার্কিন বিচার বিভাগ এই রাজনৈতিকের নাম জানায়নি। তবে, ধারণা করা হচ্ছে তিনি জয়।

২০১৫ সালের ৯ মার্চ একটি ফেসবুক পোস্টে জয় তাকে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য বিএনপি নেতাদের অভিযুক্ত করেন।

শফিকও একজন ব্রিটিশ নাগরিক। তিনি বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। ৮০'র দশকে সাপ্তাহিক যায় যায় দিনের সম্পাদক হওয়ার পর তিনি আলোচনায় আসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

8m ago