বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা: ৫ দিনের রিমান্ডে বুশরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ আদেশ দেন।
রামপুরা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মউলা ৮টি কারণ উল্লেখ করে বুশরার ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কারণগুলো হলো—ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন; কী কারণে ভিকটিমকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ; অজ্ঞাতনামা আসামিদের পরিচয় শনাক্ত; কোথায়, কীভাবে, কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে; কয়জন অংশগ্রহণ করেছে, মাস্টারমাইন্ড কে; মৃতদেহ কোন স্থান থেকে নদীতে ফেলা হয়েছে; আসামিকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা এবং চাহিদা অনুযায়ী সব তথ্য সংগ্রহ।
শুনানিকালে আদালতে বুশরার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।
এর আগে আজ সকালে রাজধানীর বনশ্রী থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ ভোররাত ৩টায় ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে বুশরাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিখোঁজের ২ দিন পর গত ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে।
'ফারদিনের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। তার বুকের ভেতরেও আঘাতের চিহ্ন আছে। এটি অবশ্যই হত্যাকাণ্ড, পানিতে ডুবে মৃত্যু না', বলেন শেখ ফরহাদ।
Comments