শাবিপ্রবি: মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ৫ সাবেক শিক্ষার্থী

মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর আইনজীবী কানন আলমের (কালো কোট পরা) সঙ্গে শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য করায় সাবেক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলার ৫ অভিযুক্তকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক সুমন ভুঁইয়া তাদের অব্যাহতি দেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের কৌঁসুলি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওশাদ আহমেদ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

৫ সাবেক সাবেক শিক্ষার্থীরা হলেন-কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান খান, স্থাপত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নুর মুইন, এ এফ এম নাজমুল সাকিব, এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সল আহমদ।

আইনজীবী নওশাদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, 'মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে জালালাবাদ থানার পরিদর্শক আবু খালেদ মামুন মামলায় অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।'

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী কানন আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাবেক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলায় তথ্যগত ভুল হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ‍তাই নাম উল্লেখ করা আসামিসহ সবাইকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।'

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দেওয়ায় গত ২৪ জানুয়ারি ৫ জন সাবেক শিক্ষার্থীকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

পরদিন তাদের সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ওই রাতেই এই ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতারণার মামলা করেন সিলেট জেলা তাঁতি লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুজাত লায়েক আহমদ। 

এ মামলায় এই ৫ সাবেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। 

পরদিন ২৬ জানুয়ারি তাদের আদালতে পাঠানো হলে, আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago