শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ পুলিশের

ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আটক করা ৫ সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে 'অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে'র অভিযোগ আছে বলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'এই ৫ সাবেক শিক্ষার্থীকে আটকের মূল কারণ তারা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত হয়েছিলেন অর্থের জোগানদাতা হিসেবে এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে উস্কানি দিয়ে অশান্ত করা এবং অন্যদিকে প্রবাহিত করা।'

তিনি বলেন, 'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে ঢাকায় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের আটক করে। পরে তাদের সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আটককৃতদের বর্তমানে জালালাবাদ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'

এসএমপি কমিশনার আরও বলেন, 'অর্থের জোগানদাতা হিসেবে তাদের উদ্দেশ্য কী তাও তদন্তে উঠে আসবে। যেমন জঙ্গিদের অর্থ জোগানদাতা আছে, আর এই অর্থ দিয়ে জঙ্গিরা শুধু খাবার খায় না। বরং তা দিয়ে বোমা বানায় বা কেনে। অর্থাৎ তাদের উদ্দেশ্য কী, তা আসবে তদন্তে।'

এদিকে আটক ৫ সাবেক শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।

তারা হলেন-হাবিবুর রহমান খান (২৬), রেজা নুর মুঈন (৩১), এ এফ এম নাজমুল সাকিব (৩২), এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও ফয়সাল আহমেদ (২৭)।

গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে তাদের ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

নাজমুস সাকিবের স্ত্রী ফাইজা নদী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান যে গতকাল সকালে একটি ফোন করে বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগ্রহ ও তাদের ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়। তখন সাকিব এটিকে ফ্রড কল হিসেবে মনে করে ঠিকানা দেননি। পরে সন্ধ্যায় অফিস থেকে জানানো হয় যে পুলিশ তার বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করেছে।

তখন বিষয়টি প্রতারণা নাকি সঠিক তা জানতে স্থানীয় থানায় গেলে, সেখান থেকে আটক করা হয় সাকিবকে।

ফাইজা নদী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে ফোন করে কিছু টাকা সহায়তা চায়। পরবর্তী সময়ে সে বিকাশের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা পাঠিয়েছিল। এটাই হয়তো তার অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।'

রেজা নূর মুঈনের স্ত্রী ও শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী জাকোয়ান সালওয়া তাকরিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন উত্তরা আগোরায় কেনাকাটার জন্য গেলে রেজাকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায় সিআইডি।

তিনি বলেন, 'এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং কিছু অর্থ সহযোগিতা করেছি।'

এদিকে শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী শাহ রাজী সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হাবিবুর রহমানকে গতকাল সিআইডির লোকেরা উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

5h ago