আন্দোলনকারীদের ‘টাকা পাঠানোয়’ শাবিপ্রবির সাবেক ২ শিক্ষার্থীকে আটকের অভিযোগ

রেজা নূর মুঈন (বামে) ও হাবিবুর রহমান (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক ২ শিক্ষার্থীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিরুদ্ধে।

তারা হলেন-শাবিপ্রবির আর্কিটেকচার বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুঈন ও সিএসই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান।

চলমান উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের আন্দোলনকারীদের 'টাকা পাঠানোয়' রেজা নূর মুঈনকে আটক করা হয়েছে বলে মনে করেছেন তার স্ত্রী ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাকোয়ান সালওয়া তাকরিম।

সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে অভিযোগ করে বলেন, 'রেজা সন্ধ্যায় উত্তরা অ্যাগোরার কাছে মুদি কেনাকাটার জন্য গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট তুলে নেয়।'

পরে তারা রেজার গাড়ি ফেরত দিতে বাসায় আসে এবং জানায় যে রেজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

যারা বাসায় এসেছিল তাদের গাড়িতে সিআইডির স্টিকার লাগানো ছিল বলে জানান রেজার স্ত্রী।

তার ধারণা, শাবিপ্রবিতে চলমান উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের আন্দোলনকারীদের 'টাকা পাঠানোয়' রেজাকে আটক করা হয়েছে।

তারা দুজনেই শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং কিছু অর্থ সহযোগিতা করেছি।'

'আমাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। শুধু জুনিয়রদের সাহায্য করার জন্য টাকা দিয়েছি,' যোগ করেন তিনি।

এদিকে শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী শাহ রাজী সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি আর হাবিবুর রহমান গত প্রায় আড়াই বছর ধরে একসঙ্গে থাকি। তাকে সিআইডির লোকেরা উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।'

হাবিবুরকে নিয়ে যাওয়ার সময় ৩ জন সিআইডি কর্মকর্তা ছিল এবং যোগাযোগের জন্য মাহমুদুল ইসলামের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, হাবিব জার্মানির একটা সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি পেয়েছে। গতকালই তার ভিসা হয়েছে।

তবে আটকের বিষয়ে জানতে সিআইডির মুখপাত্র আজাদ রহমান এবং সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল ইসলাম তালুকদারকে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। ফোনে মেসেজ পাঠালে, তারও উত্তর দেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

2h ago