বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর: আ. লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের আসামি করে মামলা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়ন পরিষদে হামলা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর এবং টাকা লুটের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
ফরিদপুর হামলা
ফরিদপুরের বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে গত রোববার হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়ন পরিষদে হামলা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর এবং টাকা লুটের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে বোয়ালমারী থানায় হওয়া মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত চার জন নেতা আছে বলে জানা গেছে।

মামলাটি করেছেন শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ।

আওয়ামী লীগে কোনো দলীয় পদ না থাকলেও গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ইউপি চেয়ারম্যান হন কামাল আহমেদ।

মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে আছেন- ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আব্বাস মোল্লা (৩৫), শেখর ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. রুমান মোল্লা (৩০), শেখর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশা চৌধুরী (৩০), ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ মানিক (২৭)।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের সহস্রাইল বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে গত রোববার হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া হামলাকারীরা নগদ ৩ লাখ টাকার বেশি লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলাকারীরা ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি দেয়।

অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে আসামি যুবলীগ নেতা রুমান মোল্লা মোবাইল ফোনে জানান, অস্থায়ী ইউপি কার্যালয়ে হামলা কিংবা ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইউপি চেয়ারম্যান তাদের ফাঁসানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর দুইটি ছবি এনে সেই ছবি ও চেয়ারম্যানের অফিসে তারা নিজেরা ভাঙচুর করে আমাদেরকে ফাঁসিয়েছে।

শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একটি পক্ষ আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। জাল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে নিষেধ করায় তারা আমার কার্যালয়ে টাঙানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এছাড়া ড্রয়ারে রাখা হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে সংগৃহীত ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং বাজার বণিক সমিতির ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা লুট করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের বলেন, দ্রুত বিচার আইনে সোমবার এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুল্লাহ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Six state banks asked to cancel contractual appointments of MDs

The Financial Institutions Division (FID) of the finance ministry has recommended that the boards of directors of six state-run banks cancel the contractual appointment of their managing directors and CEOs..The six state-run banks are Sonali Bank, Janata Bank, Agrani Bank, Rupali Bank, BAS

42m ago