থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ, নারীকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ বলছে, সংঘবদ্ধ একটি চক্র টাকার বিনিময়ে অন্যকে ফাঁসাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার মিথ্যা অভিযোগের ঘটনায় এক নারীকে আটকের পর দুপুরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

ওই নারীর স্বামী মো. ইব্রাহীমকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাকলিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ৩০ বছর বয়সী এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন জানিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে গিয়ে ২১ তারিখ রাতে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে বাকলিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে তদন্তে নামে।

অভিযোগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানাধীন তিন জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। অভিযোগে মো. মুছা, মো. সোহেল এবং মো. বেলাল এবং অজ্ঞাত আরো তিন ব্যক্তির কথা বলা হয়।

পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোবাইল ফোনে পরিচিত মুছা তাকে ফোন করে দেখা করতে বললে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যান এবং একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ করেন তিনি।  

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) নোবেল চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নামে এবং ঘটনাস্থলসহ এর আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। পরে ঘটনাস্থল নিয়ে অভিযোগকারী ভিন্ন তথ্য দিলে পুলিশের সন্দেহ হয়।'

পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী জানিয়েছেন দুই যুবক ২০ সেপ্টেম্বর তার স্বামীকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে থানায় গিয়ে ধর্ষণের মামলা করতে বলে তিন জনের নামে। এমনকি এজাহারে কী কী লিখতে হবে তাও মুখস্ত করানো হয়েছে বলে জানান ওই নারী।

সিএমপির চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ তদন্ত করতে নেমে জানতে পারে পুরো ঘটনাই পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

1h ago