৮০ কোটি টাকা পাচার মামলায় পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার এবং আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার এবং অবৈধভাবে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচার শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালতে এই বিচার শুরু হয়। মামলায় পিকে হালদার এবং আরও ৯ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়।
মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা এখন জেল হেফাজতে আছেন। তারা হলেন— পিকে হালদারের আইনজীবী সুকুমার মৃধা, মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল ও আত্মীয় শঙ্খ বেপারি।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলার বাদীর দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আসামিরা সময় চাওয়ায় বক্তব্য রেকর্ড করার পর, অভিযোগকারীকে জেরা করার জন্য ১৩ ই অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারক।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর একই আদালত পিকে হালদারসহ আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে।
এই মামলায় পলাতক ৯ আসামি হলেন— পিকে হালদারের মা লিলাবাতি হালদার, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, সহযোগী পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গা মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রী ও স্বপন কুমার মিস্ত্রী।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ১৪ মে ভারতের অশোকনগরে অর্থ পাচারের অভিযোগে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পিকে হালদারের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক। তবে, কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয় তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন গত ১০ ফেব্রুয়ারি পিকে হালদারসহ আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ৫৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন।
প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
Comments