ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই করে পালানোর সময় গণপিটুনি
ঢাকার ধামরাইয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দিয়ে ছিনতাই করে পালানোর সময় ৫ জনকে আটক করেন স্থানীয়রা। এরপর তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-পিরোজপুর জেলার মো. রুবেল হোসেন (২৯), পটুয়াখালীর মো. শওকত হোসেন (৩০), একই এলাকার নুরুল ইসলাম (২৮), নুরুল (৩০) এবং ঝালকাঠির রিয়াজুল ইসলাম (২৭)।
আজ সোমবার বিকেলের দিকে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের পাশে তাদের আটক করে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫ জনকে আটক করে।
ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নির্মল কুমার দাস দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকার মিরপুর থেকে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ পিকআপ ভ্যানে টাঙ্গাইলে মুরগী কিনতে যাচ্ছিলেন রমজান আলী, সোহাগ, ইয়াছিন ও শাফায়াত হোসেন মিঠু। সাভার উপজেলার নবীনগরের কাছাকাছি পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা তাদের বহন করা মাইক্রোবাস দিয়ে ওই পিকআপ ভ্যানের গতিরোধ করে।
পরে মাইক্রোবাসে থাকা ছিনতাইকারীরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পিকআপ ভ্যান থেকে ৪ জনকে মাইক্রোবাসে তুলে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের মারধর করে ধামরাইয়ের পাল সিএনজির পাশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ফেলে মাইক্রোবাসটি ঢাকার দিকে চলে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
এ সময় ভুক্তভোগীরা একটি বাসে উঠে ছিনতাইয়ের বিষয়টি বললে বাসটি মাইক্রোবাসের পিছু নেয়। পরে মাইক্রোবাসটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে জয়পুরা দিয়ে একটি আঞ্চলিক সড়কে ঢুকলে ভুক্তভোগীরা বাস থেকে নেমে আশপাশের লোকজনদের বিষয়টি জানায়। পরে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের কাছে মাইক্রোবাসটিকে আটক করতে সক্ষম হয় স্থানীয়রা।
তখন ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করলেও, তাদের মধ্যে ৫ জনকে ধরতে সক্ষম হয় স্থানীয়রা। ওই ৫ জনকে গণপিটুনি দেওয়ার পর সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার পরিদর্শক নির্মল কুমার দাস বলেন, 'খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করি। তাদের ধামরাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছি।'
ভুক্তভোগীরা থানায় এসেছেন এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
Comments