অস্ত্র দিয়ে যুবদল সভাপতিকে ফাঁসানোর অভিযোগে ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

Feni Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে ফেনী সদর মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিনসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ফেনীর আমলী আদালতে এ মামলা করেন জসিমের স্ত্রী লুৎফুন নাহার।

ওসি ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ফেনী সদর মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. এমরান হোসেন (৩৫), এস আই নারায়ণ চন্দ্র দাস (৩৫), গোয়েন্দা শাখার এসআই হাবিবুর রহমান (৪০), ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেন (২৪) ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. সৈকত (২৩) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন।   

বাদিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, বুধবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ফেনী সদর আমলী আদালত-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

আইনজীবীরা আরও জানান,  মামলায় বাদি তার স্বামী ধলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে এর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো, হুমকিধামকি ও চাঁদা দাবির অভিযোগও তুলেছেন তিনি। 

বাদিপক্ষের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলমগীর চৌধুরী জানান, বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদা থেকে উর্ধ্বতন পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে ঘটনা তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া, আদালত আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

গত ২১ জুলাই রাজধানীর বিজয়নগর এলাকা থেকে জাকির হোসেন জসিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে ফেনী নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফেনী শহরের রামপুর এলাকায় তার ভাড়া বাসা থেকে একটি পিস্তল, গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ও ছোরা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে।

পরে জেলা বিএনপি ও পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটিকে সাজানো বলে দাবি করে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

জানতে চাইলে ফেনী সদর মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, 'আদালতে মামলা দায়ের ও  পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

10h ago